কবিকে স্মরণ

একটা প্রশ্ন ছিল কবি?
তুমি কি কেবল ২৫ এ বৈশাখ আর ২২ এ শ্রাবণেই সীমাবদ্ধ – তা তো নয়।
তুমি তো জীবনের প্রতিটি ক্ষণের সাথী।
সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা, চাওয়া, পাওয়া সবেতেই তোমাকে অনুভব করি।
তোমার সৃষ্টি জীবনের তরীকে বয়ে নিয়ে চলে,
কত রূপে তুমি ধরা দাও – পুজারিনীর বেশে পূজার ডালি সাজিয়ে তোলো,
আবার হৃদয়ের অন্তঃপুরে ভালোবাসার আসর সাজাও।
জীবনদেবতা সেজে তুমি অশ্রুমোচন করে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে শান্তির প্রলেপ লাগাও।
তুমি কি না পারো ! – সুরের ডালি সাজিয়ে এক মুহূর্তে জীবনের গতিপথ পাল্টে দিতে পারো।
যার এত ক্ষমতা তাকে নির্দিষ্ট দিনে বেঁধে রাখে কে?
তুমি বাস্তবতার সাথে সাথে স্বপ্নেও পাড়ি দাও,
হে কবি, তোমার নামতেই পূর্ণতা রয়েছে।
তুমি সূর্যের মত দীপ্ত, সাগরের মতো বিশাল, তোমাকে ছাড়া বাঁচা যেন দায়।
তুমি প্রকৃতির প্রতিটি রূপকে নিজের মতো করে এঁকেছো,
তোমাকে যত জানি তত তুমি যেন অচেনা হয়ে যাও,
নতুন ভাবে তোমাকে জানার ইচ্ছে জাগে।
তাইতো তুমি দিন রাত্রির স্বপ্ন জাগরণের সঙ্গী।
শুধু আমার নয়, সমগ্র বিশ্ববাসীর হৃদয়ে রয়েছো।
বোলপুরের প্রতিটি কোনে তোমার স্মৃতি ছড়িয়ে আছে,
তোমার সৃষ্ট শান্তিনিকেতন সকলের শান্তি কামনার স্থল।
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির ছোট্ট শিশু পেরেছে সকলের হৃদয়ে জায়গা করতে।
সে শুধু ঠাকুরবাড়ির ব্যক্তিবিশেষ হয়েই থাকেনি, সমগ্র বিশ্ব তাকে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছে,
তাই তুমি সৃষ্টির আলোকে সকলকে ভরিয়ে তুলেছো।
More From Author
- None Found