কিংবদন্তি কাদম্বিনী গাঙ্গুলী – জন্মবার্ষিকীতে লহ প্রণাম!

সংস্কারের প্রাচীর ভেদ করে বেরিয়ে আসা সহজ ছিল না আজ থেকে ১৫০ বছর আগে,
কিন্তু তুমি পেরেছো বন্ধনমুক্ত হয়ে এগিয়ে আসতে, তাই তুমি সবার প্রিয় “কাদম্বিনী গাঙ্গুলী” .
আজ তোমার জন্মবার্ষিকী,জানাই অন্তরের সশ্রদ্ধ প্রণাম।
নারী জাতি কে তুমি দিয়েছো এগিয়ে যাওয়ার বার্তা,কেবল তুমি সেসময়ে দাড়িয়ে বলতে পেরেছো –
“হাত পা বেঁধে রাখলেও মনটাকে আটকে রাখা যায়না। ”
এগিয়ে যাওয়ার অদম্য সাহস তোমাকে পৌঁছে দিয়েছে এক নক্ষত্রলোকে,
সেখানে তারার মতন জ্বলজ্বল করেছে তোমার ভাবনার প্রতিটি রেখা।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ কে মাথা নত করতে হয়েছে তোমার মত সাহসিনীর কাছে।
তুমি শুধু নারী জাতির নয় – চিকিৎসা বিদ্যাতেও উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বিরাজ করেছো।
ভাৰতবাসী কেই নয় ব্রিটিশ সরকার কেও তুমি বুঝিয়েছো ইচ্ছা ও অদম্য সাহস জয়ের পথের দিশারী।
সমাজের সঙ্গে লড়াই করতে করতে তুমি পেয়েছো দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীর মত জীবন সাথী।
তিনি নারী স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে তোমাকে যোগ্য সম্মানে করেছে সম্মানিতা।
ব্রজকিশোর বসুর মতন পিতা তোমার চিন্তাধারাকে করেছে মুক্ত।
রক্ষণশীল মনোবৃত্তিকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে গেছেন তোমার স্বপ্নের ঠিকানা খুঁজতে।
স্বপ্নতো সেসময় অনেকেই দেখতো, আবার দেখতো সেই স্বপ্নকে চিতার আগুনে জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যেতে।
ব্রজকিশোরের মতন পিতা কি সকলের জুটতো – যার কাছে মেয়ের স্বপ্নপূরণ ছিল একমাত্র লক্ষ্য !
তাকে লক্ষ্যচূত করে কার সাধ্য?
শৈশব থেকেই তোমার বুদ্ধি, তোমার সাহস, অজানাকে জানার চেষ্টা,
সমাজকে ব্যাতিব্যাস্ত করলেও ব্রজকিশোর বাবুকে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে অনেকটা সাহায্য করেছিল।
পথ দেখলেই কি সবাই সাফল্য পায়?
তোমার সাফল্য সকল নারীজাতিকে নতুন গতি দান করে।
এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আবরণ ভেদ করে বেরিয়ে এসে নিজের অস্তিত্ব কে নতুন ভাবে উপভোগ করে।
তুমি সকলকে শিখিয়েছো ইচ্ছে ডানায় ভর করে চলতে – জীবনকে পুতুল নাচের মঞ্চ থেকে সরিয়ে সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে।
সময়কে হাতের মুঠোয় বেঁধে নিজে সময় গড়েছ, চিকিৎসা বিদ্যার মতন বিষয়কে নিয়ে এগিয়ে গেছ,
তোমার সাফল্য বই পুস্তকে স্বর্ণাক্ষরে লেখা।
আমার মতন সাধারণ নারী জানায় তোমায় একনিষ্ট শ্রদ্ধা।
তুমি শুধু নারীজাতির নয়, সমস্ত মানবজাতির এগিয়ে চলার পথপ্রদর্শিকা।
More From Author
- None Found